সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

এক ফোটা আনন্দের বৃষ্টি

৩১.০৩.১৪


অনেকদিন পর কিছুটা ভালো লাগছে। হম ভালো লাগছে এই ভেবে, যা গতকাল plan করেছিলাম আজ তা সত্যি হয়েছে। আজ ১৯ দিন পরে আমার বাবুটার সাথে কথা হলো, তাও আবার সামনা-সামনি। সত্যি, নিজেই অবাক। কখনো ভাবিনি শিমু এমন একটা কাজ করবে আমার জন্য। অনেক ধন্যবাদ দোস্ত। আল্লাহ তোর মঙ্গল করুক। 

আজ সকাল থেকেই খুব চিন্তায় ছিলাম। আজ তুমি হবিগঞ্জ থেকে চলে যাবা। তারওপর কাজের চিন্তা। এসব নিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবতেই ১০টা বেজে গেলো। শিমুকে ফোন করলাম, কিন্ত ফোন ধরলোনা। আমিতো চিন্তায় পরে গেলাম, তুমি আবার ওর সাথে দেখা করতে পারবেনা বলেছ নাকি। আমার এই বন্ধু যে তোমাকে বাসা থেকে বের করতে গেছে, তাতো বুঝিনি। আর না পেরে শিমুর বাসার সামনে যেয়ে wait করতে লাগলাম। এর মধ্যে রিকশা থেকে কে জানি হাত নাড়লো। অবাক হলাম, কে এইটা। একবার মনে বারি দিলো, তুমি আর শিমু। আবার ভাবলাম, ধেত অসম্ভব। তোমার ওনিত তোমাকে নাকি একা বের হতে দেয়না। কিন্ত, এইসব ভাবতে ভাবতেই শিমু ফোন করে কলেজের canteen এর সামনে যেতে বললো। আমিও গিয়ে wait করতে থাকলাম। বাকি ঘটনা তো তুমি জানোই।

বাবু, শিমুর মুখে তুমি এসেছো শুনে তো আমি পুরা অবাক। যখন canteen এ ডুকলাম, দেখি সত্যি তুমি এসেছো। ঔফ তোমাকে দেখে বুকের ভিতরের আগুনটা খুব জলে ওঠলো। অনেক কষ্টে সাম্লাচ্ছিলাম নিজেকে। কি করেছো তুমি নিজের। শুকিয়ে পুরা কাঠ। তোমার চোখের দিকে তাকাতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। কিন্ত আমিতো আর কখনো তোমাকে আমার কষ্ট দেখবোনা। আর তাই নিজেকে সামলানোর জন্যই শিমুর সাথে কথা বলছিলাম এবং তোমাকে দেখছিলাম। হে তোমাকে দেখে নিয়েছি চোখ ভরে। আর তো দেখা নাও হতে পারে। 

বাবু, তোমার হাতের চুরি, নাকের নাকফুল এবং আঙ্গুলের aunty দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। ইচ্ছে করছিলো ঐগুলু খুলে সব ফেলে দেই :'( তুমি তো কেদেছ, আর আমি ত্রিব্ব বেথায় ককিয়েছি। মনে আছে তোমার, আমি নাকফুল দেয়া পছন্দ করতাম না, আর তাই তুমি নাকফুল পরতে না। কিন্ত, দেখো আজ তুমি ঠিকি নাকফুল পরে আছ। তোমাকে খুবই বিমর্ষ লাগছিলো। খুব ইচ্ছে করছিলো তোমার হাত দুইটা ধরে তোমাকে একটু সান্তনা দেই। কিন্ত, কিছুই করিনি, আমার ভিতরে তখন অনেক তুফান চলছিলো।

বাবুরে, কেন এমন করছো? তুমি না চাও adjust করে নিতে, তবে এমন করার কি কোনো অর্থ আছে। মেনেই তো নিয়েছো, শুধু শুধু এই সোনালী দিনগুলু নষ্ট করোনা। পরে অনেক miss করবা এই দিনগুলি। দেখোনা আমি সেই দিন্গুলুকে কত্ত মিস করছি। ইস আগে যদি এমন হবিগঞ্জ এসে তোমার সাথে আরো সময় থাকতাম :'(

সন্ধাবেলা হাটছিলাম। ভাবলাম শিমুকে ask করি, তোমার কি হয়েছে। আর তাই শিমুর কোচিং শেষ হলে, ওকে এগিয়ে দেয়ার নাম করে তোমার কথা জানতে চাচ্ছিলাম। আমার কপালটাই খারাপ, পরবি তো পর একদম জুয়েলের সামনে। ভাগ্গিস চালাকি করে আমি পিছনে না তাকিয়ে সামনে হেটে চলে আসছি। কিন্ত, শিমুকে নাকি জুয়েল আস্ক করছে "কিরে এটা বাবুর টারজান নাহ"? শিমু বলছে, আরে নাহ। ও এখানে আসবে কেনো। ঔফ বাচলাম। ইতিমধ্যে মোটামোটি কয়েকজনকে চিনছি। ইমনকে দেখছি, শিমু দেখাইছে। ও তো অনেক smart. আমার কিন্ত ভালো লাগছে। জুয়েলের বউকে দেখলাম। তোমার ওই কথাটা তখন মনে পরলো। জুয়েল কত কষ্ট করছে ওনাকে বিয়ে করার জন্য। আর আমি? কিছুই করিনি।

বাবু, গতকাল রাতে শুয়ে ভাবছিলাম, তোমার আম্মু না আমাকে ২ বছরের সময় দিয়েছিলেন। কেন ওনি ১ বছর পরেই এই কাজ করলেন? তুমিই বা কেন রাজি হলা? আমার জন্য wait করতে পারলেনা। দুবাই এর বর পেয়ে ২ বছরের কথা ভুলে গেলে? আমার জন্য এতদিন অপেক্ষা করলা, আর ১ বছরের মত অপেক্ষা করা গেলোনা। যাই হোক, যাই করেছো নিশ্চই ভালোর জন্য করেছো।

এমন একটা ভালো লাগা দিনে থাক পুরান কাসুন্দি নার্বনা। আগামীকাল যদি বেচে থাকি, তবে তোমাকে চমকানুর মত একটা খবর দিবো। তুমি ভালো থাকো, সস্থ হয়ে যাও। বাবু তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৪

না পাওয়ার বেদনা

৩০.০৩.১৪


আমার চারপাশে এখন শুধু হতাশা ভরা নিজের মুখটাই ভাসে। নিজেকে নিয়ে খেলায় নেমে নিজেকেই আজ আমি চিনতে পারিনা। আমার জীবনটা হটাত এমন হয়ে যাবে কোনোদিন ভাবিনি। আর তোমার মুখে অন্য কোনো ছেলের কথা শুনবো অথবা তার সাথে adjust করে নিবার কথা তুমি বলবা, কল্পনাও করিনি। আজ সেই তোমার মুখে এমন কথা শুনে, নিজেকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করে। কিন্ত, কিছুই করতে পারছিনা। তুমি বলো এবং বুকে ত্রিব্ব কষ্ট নিয়ে তোমার সাথে অভিনয় করে যাই।

আজকে সকাল থেকেই তোমার বাসার গলি থেকে কয়েকবার ঘুরে এসেছি। By chance যদি একটু দেখতে পাই, এই আশায়। তারপরে, বেলা ১১টায় শিমু ফোন করে হোটেল থেকে বের হতে বলল। গতকাল শিমুকে request করেছিলাম যাতে আমার জন্য তোমার সাথে একবার দেখা করে। তোমার জন্য ছোট একটা ওপহার কিনেছি, ঐটা দেবার জন্য। আজকে তোমার বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো, কিন্ত তুমি নাকি বাইরে যাবা। তোমাকে যখন শিমু ফোন করেছিলো, তখন আমি ওর সামনে বসাছিলাম। খুব ইচ্ছে করছিলো তোমার voice টা শুনতে, কিন্ত শিমুর aunty বাসায় ছিলো তাই Loud Speaker দেয় নাই। :(

তুমি বেস্ত এটা শুনে আজকের plan cancel করা হলো। তারপর শিমুর সাথে কিছুক্ষণ তোমায় নিয়ে আলাপ করলাম। শিমু ওর camera এনে তোমার বিয়ের ছবি দেখালো। জানো খুব কান্না আসছিল, শিমু দেখে ফেলবে তাই অনেক কষ্টে কান্না থামিয়েছিলাম।

বাবু, কি করে তুমি ওনাকে নিজের হাতে গলায় মালাটা পরাতে পারলা? অকল্পনীয়। একটা ছবিতেও তোমাকে কাদতে দেখলাম না। সত্যি আমি বড্ড অবাক হয়েছি। তুমি আমার সেই বাবু, যাকে আমি পাগলের মত ভালোবাসি? যার জন্য আজ আমার জীবনটা নষ্ট করেছি।

বাবু, তোমাকে অনেক সুন্দর লেগেছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে। তুমি এবং ওনি নাকি একসাথে মার্কেটিং করেছো, আর তাই দুইজনের জামার কালার একই। ভালই তো, wow তোমরা কত রোমান্টিক। তবে আমি ভেবেছিলাম, ওনি ফর্সা এবং অনেক দেখতে সুন্দর হবে। সত্যি বলতে আমার খারাপি লেগেছে ওনাকে তোমার সাথে দেখে। কেন তা বলতে পারবনা। কেন জানি মনে হচ্ছে, অনি অনেক রাগী। তোমাকে কষ্ট দিবে। যদি এমন কথা কখনো শুনি, তবে ওনার খবর আছে।

যাই হোক, শিমুর সাথে কথা শেষে হোটেলে না ফিরে এগেইন তোমার বাসার গলিতে গেলাম। এমন সময় শিমু ফোন দিয়ে বললো, তুমি আমিরচান মার্কেটে। তোমাকে দেখতে চাইলে যাতে যাই। আমিতো পরিমরি করে রউনা দিলাম এবং মার্কেটের opposite দাড়িয়ে রইলাম সেই ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। তোমার কোনো খবর নেই।  এমন সময় শিমু আবার ফোন দিয়ে বললো , তুমি নাকি চলে গেছ। ঔফ কিযে কষ্ট লেগেছিলো, তোমাকে বুঝাতে পারবোনা। :'(

বাবু, একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছে করছে। তোমার আমিরচান মার্কেটে যেতে একটুও খারাপ লাগলোনা। এখানে তোমার আর আমার কতো সৃতি জড়িয়ে আছে। এই মার্কেটের সিড়িতে তোমার আমার শেষ দেখা, মনে আছে তোমার? ৬ তলায় ফুড প্যালেস এ তোমার দিকে আমার একটানা চেয়ে থাকা। আজ সেই ফুড প্যালেস এ তুমি কেমন করে চায়নিস খেতে পারলে? সেই দিন্গুলু ভুলে গেছো। পতিবার দুইজনের খাবার নিতাম, কিন্ত তুমি খেতে পারতেনা। আর তাই আমারও খাওয়া হতোনা। আজ খেতে পেরেছিলা?

সন্ধায় তোমার সাথে nimbuzz এ কথা হলো এবং আজ তুমি চলে যাবা শশুরবাড়ি। এবার গেলে আসতে তোমার দেরী হবে। মনে হচ্ছে, এবার তুমি honeymoon করেই ফেলবা। কর, মিশে যাও ওনার সাথে। অনেক সুখী হউ। আমি হবিগঞ্জ এ আছি এবং থাকবো। আগামীকাল থেকে আমার ৫ম শ্রেনীর মানুষ হিসেবে বেচে থাকা শুরু হবে। সব বলব তোমাকে এখানে, কিন্ত nimbuzz এ দেখাবো ওলটা। আমি অনেক সুখী, খুব সুখী।

আজকের ৩১.০৩.১৪ > plan গুলু যাতে সফল হয়। যেইভাবেই হোক, তোমাকে একবার দেখতে চাই। দেখি কি হয়। ভালো থাকো লক্ষী বাবুটা আমার। সস্থ থাকো। অনেক ভালোবাসি বাবু তোমাকে।

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

নষ্ট জীবনের পথে

২৯.০৩.১৪


মানুষ মাত্রই ভুল। যার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ভুলে ভরা, তার জন্য কোনো কিছু সঠিক হওয়াটা পাপ। আর তাই নিজের জীবনটাকে নষ্ট করার নেশায় মেতেছি আমি। কিছুই বুঝতে চাইনা আমি। অনেক বুঝেছি, অনেক মানষিক যন্ত্রণা সয্য করেছি এবং করছি। আর আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি হেরে গেছি। 

বাবু, মনে আছে তোমার তুমি বলতে "তুমি অল্পতেই ভেন্ঘে পরো এবং আরো ভুল করো"। ঠিকই বলতে তুমি। আমার জর্ম হয়েছে ভুল করতে করতে জীবনকে নিয়ে খেলা করা এবং নষ্ট করা। হুম বাবু, আমি নষ্ট হউয়ার জন্যই আজ সব ছেড়ে পথে নেমেছি। 

বাবু, এই মুহূর্তে আমি কোথায় জানো? তোমার থেকে ৫ মিনিটের রাস্তা দুরে। আমি এখন হবিগঞ্জ এ। তুমি আমার এতো কাছে, তাও তোমাকে আমি জানাবোনা। আগামীকাল থেকে কি হবে আমার জীবনে, তাও তোমাকে বলবোনা। আর তোমাকে আমি কোনো কষ্টই দিবনা। আমি এখন শিমুর coaching center এর opposite সাইড এ হোটেল বনানিতে আছি। ঐখানেই থাকবো, জানিনা ঠিক কতোদিন।

আমি তোমাদের এখানে এসেছি সাড়ে ১২টায়। তারপরে হোটেল ঠিক করে শিমুর বাসায় গেলাম। অনেকদিন পর। আসলে কিছু বন্ধু থাকে, যত ভুল বুজাবুজী হোকনা কেন ক্ষমা করে দেয়। এই মুহূর্তে শিমুকে আমার খুব দরকার, শুধুই তোমার খোজ রাখার জন্য। ওর কাছেই জানতে পারলাম, তুমি আগের থেকে অনেক শুকিয়ে গেছো। কিন্ত, খুশির কথা তোমার মুখে কোনো দাগ নেই এখন। তোমাকে নাকি এখন অনেক সুন্দর লাগে। ইশ তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। আবার একটা কথা শুনে খারাপ লাগলো। তুমি নাকি বিয়ের পর থেকে ৪ দিন না ঘুমিয়ে কাটিয়েছ। তোমার বর নাকি তোমাকে সন্দেহ করে।  এটা কেন করতে গেলা তুমি? বোকার মত কাজ করতে ভালো লাগে ফাজিল। তোমাকে কিছুই করতে হবেনা। শুধু প্রাথনা করি, তুমি সুখে থাকো সারাটা জীবন।

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০১৪

সব মিথ্যে ভাবনা !

২৮.০৩.১৪

 

জীবনের ২৬ টা বসন্ত পার করে আজ মনে হচ্ছে, আমার পুরা জীবনটাই বৃথা। আমার বুকে ছিল সব মিথ্যে ধারনা। আমি ২৭তম বসন্তের কাছে এসে জীবনের কাছে হেরে গেলাম। তোমার কাছে হেরে গিয়ে জীবনের কাছে হার মানলাম। হুম বাবু, আমি হেরে গেছি। এই আমি তোমাকে গত ৫ বছরেও বুঝতে পারিনি। আমার বের্থতা। 

বাবু, তোমার মনে এখন একটাই অভিলাষ তাইনা? তোমার বরের সাথে adjust করে নেওয়া। জানো, এটা  শুনলেই তোমার মুখে, আমার খালি হাসি ওঠে। এই, তুমি না ওকে স্য করতে পারতেনা। আমাকে কেন মিথ্যে এই কথা বলেছিলা? কেন আমাকে আগে বলেছিলা, আমাকে ছাড়া কখনোই আর কাওকে মেনে নিবানা? কি দরকার ছিল আমাকে করুণা দেখানোর। কখনই বিয়ে করবেনা, আর আজ সেই তুমি আমাকে বল, "ওর সাথে match করে নিতে হবে এবং থাকতে হবে ওর সাথে বাকি জীবন "। তোমার একটু লজ্জাও লাগেনা, আমাকে এই কথাগুলু বলতে? ছি বাবু। এই ছিল তোমার ভালোবাসা? আজ সত্যি আমার মনে হয়, ৫ বছরে আমি তোমাকে ভালোবাসা কি তাই বুঝাতে পারিনি। যদি আমায় তুমি সত্যি ভালোবাসতে, তবে শুধু মুখে ভালবাসা আছে বলে এমন অভিনয় তুমি আমার সাথে করতে না। একটু ও খারাপ লাগছেনা তোমার, আমার জীবনটা নষ্ট করে? কিভাবে পারছ তুমি, নিজের জীবনটাকে সুন্দর করার জন্য সপ্ন দেখতে?

হমম ! আগামীকাল হলো আমার জীবনের "ভালো ছেলের শেষ দিন"। তুমি তো আমার জন্য কিছুই করলেনা, আমি না হয় তোমার দেয়া কষ্ট ভুলতে জীবনকে নষ্ট করলাম। এই জীবনে তোমাকে যেহেতু পেলাম নাহ, ভালো থেকে আর কি হবে? সব শেষ করার পালা এবার। আর পারছিনা। তোমার দেয়া promise গুলু কাদায় আমায় সারা বেলা। কি সহজে তুমি আমাকে দেয়া promise গুলু ভুলে গেছ।  কিন্ত,আমি আজো পারিনি। আর আমাকেই বেশি কষ্ট পেতে হচ্ছে, চোখের জল ফেলেও দুক্ষগুলুকে বিদায় করতে পারছিনা। 

তোমার ওনি smart, romantic, সারাক্ষণ তোমার পাশে থাকে। ঘেসাঘেসী করে :D। খুব ভালো লাগে তাইনা বাবু? ওরা সবাই অনেক ভালো, আর তাই আমাকে মেরে ফেলতে তোমার একটু ও কষ্ট হবেনা। তোমার ভাষায় "যতো তাড়াতাড়ি match হব, ততোই ভালো"। তুমি এখন নিজের ভালো বুঝতে শিখেছো। আমার কষ্ট নিয়ে ভাবার সময় তো তোমার নেই। আম্মু promise করালো আর ধুম করে রাজি হয়ে গেলা "আমার সাথে আর কখনো ফোনে কথা বলবানা এবং ফোন নম্বর আমাকে দিবানা "। বাহ তুমি তো অনেক লক্ষী মেয়ে হয়ে গেছো। আম্মুর সব কথা শুনো, বিয়ে  করলা। এখন ওনার এই কথায়ও রাজী হয়ে গেলা। এই বাবুকে তো আমি চিনিনা। 

আর একটা দিন বাবু। তারপরেই সব পাল্টে যাবে। তোমাকে দিবো - টারজান এর অত্তাচার ছাড়া একটা জীবন। আর টারজান পাবে, কষ্টের নষ্ট একটা জীবন। তোমার বর মে এর ৯ তারিখে চলে যাবে, এতে তোমার অনেক মন খারাপ তাইনা? ১০ তারিখে আমার জর্মদিন সেটা এবার মনে থাকবে কি? দয়া করে মনে রেখোনা, মেরেই যখন ফেলেছো আমায় তখন মিথ্যে শরীরের জর্মদিন এর wish করোনা। ততদিনে হয়তো সত্যি সত্যি জর্মদিন নাহ হয়ে মৃত্তদিন পালন করার সুযোগ করে দিতে পারি তোমাকে। 

বাবু, তোমার ওপর ভীষন রাগ ওঠে মাঝে মাঝে। আবার পরে নিজেই ভাবি, আরে ভালোবাসা তো আমি শিখিয়েছিলাম, তাই আমাকেই কষ্ট পেতে হবে। গত ৫ বছরে যেমন দোষ না করেও, আমাকেই ক্ষমা চাইতে হয়েছে সব সময় ঠিক তেমন। যে শিখায়, তার মাঝে ঐটা থাকে বলেই শিখাতে পারে। আর যে শিখে, সে সেইটা অনেক সময় feel না করেই ভাবে, সে শিখে নিয়েছে। এমনটি হয়েছে তোমার খেত্রে। আমার পতি তোমার ভালোবাসা ছিলনা। ছিল একটা অভ্ভাস। সত্যি বলছি। গত ৫ বছরে তুমি প্রোতিদিন একটা কাজ করতে করতে অভস্স্ত হয়ে গিয়েছিলে। আর তাই এমন করতে পেরেছো আমার সাথে। আর আমি সেই জিনিসটা ভিতর থেকে ফীল করেছি বলেই আজ এত ভেন্ঘে পরেছি। আর তাই নিজের জীবনটাকে ধ্বংস করতে একটুও খারাপ লাগছেনা। 

বাবু, এই জীবনে আমার জন্য কিছুই করার সুযোগ দিবনা তোমাকে। দেখা যাক, আগামীকাল কি হয়। আশা করি আর ১ দিন পরেই আমার জীবনটা পাল্টে যাবে বেথার সাগরে ডুব দিয়ে। তোমার পথ চলাকে আরো সুন্দর করার জন্য। তোমার জন্য আমার জীবনটা ossorgo করে দিলাম। ভালোবাসি তোমাকে প্রাণ দিয়ে, তাই তোমার জন্য আমার শুভকামনা সবসময়। 

রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৪

অগুছালো দিন-রাত্রি

২৪.০৩.১৪

খুব বেশি হতাশ লাগছে। আর পারছিনা সয্য করতে। অত্তহত্তাটা যদি মহাপাপ না হতো , তবে আমি তাই করতাম। তুমি বুঝবেনা কত কষ্টের মাঝে রেখেছো আমায়। সারাক্ষণ বুকের মাঝে শুধু একটাই নাম ঔচ্চারিত হচ্ছে, তোমারি নাম বাবু। আমার অপরাধটা কি বলতে পারো?

আর পারছিনা আমি। ওউফ কেন মরিনা, তোমার সাথে মিথ্যে অভিনয় করতে যেয়ে যে আমি আরো শেষ হয়ে যাচ্ছি। এতো কাদতে পারি আমি, গ্রামে এই একটি বদ্ধ ঘরে শুধুই তোমাকে ভেবে চোখের পানি ফেলে যাচ্ছি। এত কষ্ট কেন দিলে আমায়? আমার ভালোবাসা কি মিথ্যে ছিলো তোমার কাছে। কিছুতেই নিজেকে বুঝাতে পারিনা। ঔফ আল্লাহ আর পারছিনা আমি। আর কত কাদলে এই কষ্ট শেষ হবে?

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

দিশেহারা এই আমি

২২.০৩.১৪

হুম, এই আমি আজ খুব দিশেহারা হয়ে পরেছি। কত যে নিজেকে শূন্য মনে হচ্ছে, তা আমি কাওকেই বুঝাতে পারবোনা। বাবু, এমনকি তুমিও কোনদিন বুঝতে পারবেনা, তুমি আমার জীবনটাকে কি করে দিয়েছো । আমাকে ভেন্ঘে দিয়েছো ঠিক কাঁচের গ্লাস্সের মত। আমার সব বিশসাস নষ্ট করে আজ তুমি আমার ফিউচার বলো কিংবা জীবন, দুইটাই নষ্ট করে দিয়েছ। না, এর জন্য কখনোই তোমাকে অভিশাপ কিংবা ঘৃনা করবোনা। যত কিছুই হোক, তোমাকেই যে ভালোবাসি। এবং ভালোবেসেই যাবো। 

জানো বাবু, আজ থেকে আমি ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করেছি। আর পারছিনা আমি। না ঘুমাতে, না ঘুমাতে আমি প্রায় পাগল হয়ে গেছি। বিছানায় গেলেই তোমার ভাবনা, ঔফ কি যে দস্সহ যন্ত্রণা তা তুমি বুঝবেনা। হয়ত তুমিও আমার কথা ভাবো, কিন্ত তোমার বরের ওপস্থিতি তোমাকে আমার ভাবনা নিয়ে পরে থাকতে দেয়না। কেন জানি মনে হচ্ছে, তুমি কিছুটা মানিয়ে নিয়েছো নতুন জীবনধারায়। মানিয়ে নাও, সেটাই ভালো তোমার জন্য। 

আচ্ছা বাবু, আমাকে তুমি তোমার X BF না ভেবে, একজন মানুষ ভাবতে পারনা। তুমিতো অন্য সবার সাথে ঠিকই ফোনে কথা বলছ। কিন্ত, এই মানুষটাকে কেন এড়িয়ে যাচ্ছ? এমনিতেই বেশ বড় একটা বেথা দিয়েছ, আমাকে একটু সোজা হয়ে দাড়াতে দিবানা? দাওনা আমাকে একটু তোমার সংস্পর্শ। এতে তোমার না হয় কোনো লাভ হলনা, আমার তো জীবনটা প্রাণ ফিরে পাবে। আমি যে খুব অসহায় বাবু। এই পৃথিবীতে তুমি ছাড়া আমাকে বুঝে এমন আর কেও নেই। এটা জানার পরেও এমন করাটা মানে, আমাকে তুমি নিজের হাতেই মেরে ফেলছো। হয়ত এখন বুঝবেনা, তুমি আমার কি ক্ষতি করছ। যখন বুঝবে, তখন আফসোস করে কি হবে? আমি যে তখন অনেক দুরে থাকব, হয়ত না ফিরার দেশে। 

" সব আলো নিভে যাক আধারে,
শুধু জেগে থাক দুরের তারারা। 
সব সপ্ন থেমে যাক নিস্তব্দতায়,
শুধু জেগে থাক এই সাগর আমার পাশে। 
আহা হা আহা হা, আহ আহ আহ। 

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায় ,
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে। 
হৃদয় গভীরে অবাক বৃষ্টিতে ,
থমকে দাড়িয়েছে মহাকাল এইখানে। 
আহা হা আহা হা, আহ আহ আহ। "

এই গানটার মত তোমাকে হারানোর মধ্য দিয়ে আমার জীবন এখানেই থেমে গেছে। সব সপ্ন, সব আনন্দ, চোখের জলে ভেসে গেছে। তুমি আমাকে কান্না করা শিখিয়েছ মেয়েদের মত। তুমি শিখিয়েছ, অন্ধের মত কাওকে বিশসাস করা ভুল। আরগুলু নাইবা বললাম। 

বাবু জানো, পরের মাসের শুরু থেকে আমার পাগলামি হবে শুরু। না তোমাকে বলবনা, এখানে লিখে রাখব। যদি কখনো এই লিখাগুলু পর, তবে যাতে আমার কষ্টের দিন্গুলু কেমন কেটেছিল তা বুঝো। আমি চাই, তুমি খুব করে কাদো। আমার সব সৃতিগুলু তোমার মন থেকে মুছে যাক, সেই জলের সাথে। 

আমি তোমাকে বলে দিবো,
কিযে একা দীর্ঘ রাত,
আমি হেটে গেছি বিরান পথে।
আমি তোমাকে বলে দিবো,
সেই ভুলে ভরা গল্প,
করা নেড়ে গেছি ভুল দরজায়। 
ছুয়ে কান্নার রং, ছুয়ে জোছনার ছায়া। :'(

আমি কাওকে বলিনি সেই নাম,
কেও জানেনা, না জানে আড়াল।
জানে কান্নার রং, জানে জোছনার ছায়া। :'(

ভালো থাক বাবু সব সময়। অনেক সুখী হউ তুমি।

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০১৪

৫+ বছরে প্রথম

২১.০৩.১৪

এক নতুন অভিজ্ঞতা। এই প্রথম গত ৫ বছরের মধ্যে তোমার সাথে ৫ দিন ধরে কথা না বলে আছি। কি যে কষ্টের মধ্যে আমি আছি, তা তুমি কোনদিন বুঝতেই পারবেনা। খাওয়া বলো, ঘুম বলো, কিছুই  করতে পারছিনা। সবসময় শুধু তোমারি চিন্তা মাথায় ঘুরছে। বাবু, তুমি আমার সাথে এমন করবে কোনদিন কল্পনাও করিনি। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি সপ্নে আছি। যেই সপ্নটা খুবই ভয়াবহ আমার জন্য। আমি এতটাই ভয় পাচ্ছি যে, আমার খাওয়া, ঘুম, সব চলে গেছে। তারওপর তুমি আমার সাথে একদম যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছো। "রুগের ওপরে বিষ ফুড়া" বুঝি একেই বলে। একে তো আমি মরছি তোমাকে হারানোর বেদনায়। তারওপর যোগাযোগ বন্ধ করে তুমি কি একদম আমাকে পাগল বানাতে চাচ্ছ? কি ছিলো আমার অপরাধ বলতে পারো। তোমাকে বেশি ভালোবেসেছিলাম, যা তোমাকে কোনদিন বুঝাতে পারিনি। তোমাকে অনেক চেয়েছিলাম। কিন্ত চাওয়াটাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে পারিনি, এইগুলু ছিলো আমার ভুল, তাইনা বাবু ?

বাবু, তোমাকে যে কতো মিস করছি, তা বুঝাতে পারবনা। গতকাল ৩ দিন পরে তুমি nimbuzz এ আসলা, কিন্ত একটা কথাও বললেনা। খুব যে তোমার মুখের কথা শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে। ভেবেছিলাম তুমি একটা কিছু বলে যাবা। আমার ভাবনা আমার মাঝেই রয়ে গেল। মাঝে মাঝে যখন খুব রাগ ওঠে, ইচ্ছে করে তোমাকে আগের মত blackmail করি emotionally। কিন্ত কেন যেন মনে হচ্ছে, এই ওষুধ এবার আর কাজ করবেনা। তবে চেস্টা করে দেখতে দোষ কি। এমনিতেও কষ্টে আছি, একটু চেস্টা করি  করবো।

আজকে তুমি হবিগঞ্জ আসবা তোমার বরকে নিয়ে। হয়ত নাস্তা করে এখন রেডি হচ্ছ কিংবা রউনা দিয়ে দিয়েছ। শুরু হলো এই মানুষটাকে সাথে নিয়ে তোমার ঘরের বাইরের পথ চলা। এমনি করে চলতে চলতে একসময় পুরানো এই মুখটাকে ভুলে যাবা। তোমার আগের অনেক কথার মত সেই কথাটাও ভুলে যাবা "তোমাকে কোনদিন ভুলা সম্ভব নয়"। তুমি সবকিছুই পারবা, মেয়েদের সব পারতে হয়। 

মনে আছে তোমার? তুমি অন্য মেয়েদের মত হতে চাইতেনা। কিন্ত, এটাও তুমি পারলেনা। আগের কোনো কথাই তুমি রাখতে পারলেনা। শুধু এই কারণে তোমার জন্য আরো বেশি খারাপ লাগে। তোমাকে আমি অন্য মেয়েদের থেকে আলাদা মনে করতাম। তুমি ভালোবাসা জিনিষটা কি বুঝতেনা , এই আমি তোমাকে ভালোবাসা কি তা বুঝালাম। ভেবেছিলাম, সত্যি তুমি আমাকে ছাড়া আর কাওকে কোনদিনই গ্রহণ করতে পারবেনা। আমার সব ধারনা ভুল প্রমান করে তুমি আমাকে রেখে নিজের পৃথিবী সাজিয়ে নিলা। না, এর জন্য তোমার পতি আমার কোনো রাগ বা ঘৃনা নেই। তবে নিজেকে খুব বোকা মনে হয়। যেই আমি তোমাকে সবসময় বোকা বলে বকতাম, সেই তুমি দিন শেষে চালাক হয়ে আমাকে বোকা বানালা। ভাবলে হাসি ওঠে। 

জানো, আমার খুব ইচ্ছে করছে এখনি হবিগঞ্জ চলে যাই। তোমাকে আর তোমার বরকে একসাথে দেখতে পাব। তোমাদের কেমন মানিয়েছে তা দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। তোমার মুখটা দেখলেই আমি বুঝতাম, তুমি এখন happy নাকি। বাবু জানো, একটা চিন্তায় আছি। শিমুকে গতকাল দুইবার ফোন দিলাম, কিন্ত ধরলনা। তুমি আবার ওকে কিছু বলো নাইতো। শিমু ফোন না ধরলে যে আমার সব প্লান ভেস্তে যাবে। ওর সাথে যে আমার দেখা হতেই হবে। তুমি কি যে শুরু করেছ, আমার সবকিছু এলেমেলো করে দিচ্ছ। আমার রাগ ওঠলে কিন্ত আমিও সব এলোমেলো করে দিব। আমার সজ্যের শেষ সীমায় তুমি আমাকে দার করিয়ে দিয়েছ। আর পারছিনা আমি বাবু , আমাকে একটু সস্থি দাও। তোমার কাছে তো কিছুই চাইনা, শুধু আমার সাথে একটু কথা বলো। Please বাবু :'(

আমার পাশে সবসময় তুমি ছিলা, আজ কেন দুরে সরে যাবা? বিয়ে হয়েছে তো কি হয়েছে। আমি তো মেনে নিয়েছি। তোমার আর আমার পথ চলা এক সাথে লিখা ছিলনা। তাই বলে আমার থেকে পালিয়ে থাকবা কেন? তুমি কি বুঝছনা, ভুলের ওপরে ভুল করে যাচ্ছ। না, তুমি বিয়ে করাটা ভুল নাহ। আমাকে কষ্ট দেয়াটা ভুল হচ্ছে। জানোতো, একটা জিনিসকে বেশি পেচালে তা নষ্ট হয়ে যায়। তুমি কি চাও, আমি একদম নষ্ট হয়ে যাই? যদি তাই চাও, তবে দাও আরো কষ্ট। কিছুই বলবনা তোমাকে। তবে খুব শিগ্রই তুমি তার ফল দেখবে। এই সপ্তাহ আমি শেষ চেস্টা করে যাবো, যদি না হয় কিছু তবে দেখো আমি কি করি। কি করব, সেটাও জানাবো। Just wait and see, আমি আর পারছিনা। ভালো থাকো সবসময় লক্ষী বাবু ।

*** একটু সস্থি পেলাম, শিমু ফোন ধরেছে। ও বেস্ত ছিলো, তাই নাকি ফোন ধরতে পারেনি।
আর, আজ থেকে তোমার পাঞ্জাবি টা পরা অফ করে দিয়েছি। ঐটা যে এখন আমার কাছে অনেক কিছু, তোমার সৃতি। যখন দেশের বাইরে থাকবো, ঐটাকে বুকে জড়িয়ে ঘুমাবো। যেখানে তুমি তোমার বরকে নিয়ে ঘুমাবা :D
সময়ের সাথে সাথে আসলে মানুষ বদলে যায়। আমার জীবনে তুমি হবা সেইরকম একটা ওধাহরণ। ।