সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

এক ফোটা আনন্দের বৃষ্টি

৩১.০৩.১৪


অনেকদিন পর কিছুটা ভালো লাগছে। হম ভালো লাগছে এই ভেবে, যা গতকাল plan করেছিলাম আজ তা সত্যি হয়েছে। আজ ১৯ দিন পরে আমার বাবুটার সাথে কথা হলো, তাও আবার সামনা-সামনি। সত্যি, নিজেই অবাক। কখনো ভাবিনি শিমু এমন একটা কাজ করবে আমার জন্য। অনেক ধন্যবাদ দোস্ত। আল্লাহ তোর মঙ্গল করুক। 

আজ সকাল থেকেই খুব চিন্তায় ছিলাম। আজ তুমি হবিগঞ্জ থেকে চলে যাবা। তারওপর কাজের চিন্তা। এসব নিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবতেই ১০টা বেজে গেলো। শিমুকে ফোন করলাম, কিন্ত ফোন ধরলোনা। আমিতো চিন্তায় পরে গেলাম, তুমি আবার ওর সাথে দেখা করতে পারবেনা বলেছ নাকি। আমার এই বন্ধু যে তোমাকে বাসা থেকে বের করতে গেছে, তাতো বুঝিনি। আর না পেরে শিমুর বাসার সামনে যেয়ে wait করতে লাগলাম। এর মধ্যে রিকশা থেকে কে জানি হাত নাড়লো। অবাক হলাম, কে এইটা। একবার মনে বারি দিলো, তুমি আর শিমু। আবার ভাবলাম, ধেত অসম্ভব। তোমার ওনিত তোমাকে নাকি একা বের হতে দেয়না। কিন্ত, এইসব ভাবতে ভাবতেই শিমু ফোন করে কলেজের canteen এর সামনে যেতে বললো। আমিও গিয়ে wait করতে থাকলাম। বাকি ঘটনা তো তুমি জানোই।

বাবু, শিমুর মুখে তুমি এসেছো শুনে তো আমি পুরা অবাক। যখন canteen এ ডুকলাম, দেখি সত্যি তুমি এসেছো। ঔফ তোমাকে দেখে বুকের ভিতরের আগুনটা খুব জলে ওঠলো। অনেক কষ্টে সাম্লাচ্ছিলাম নিজেকে। কি করেছো তুমি নিজের। শুকিয়ে পুরা কাঠ। তোমার চোখের দিকে তাকাতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। কিন্ত আমিতো আর কখনো তোমাকে আমার কষ্ট দেখবোনা। আর তাই নিজেকে সামলানোর জন্যই শিমুর সাথে কথা বলছিলাম এবং তোমাকে দেখছিলাম। হে তোমাকে দেখে নিয়েছি চোখ ভরে। আর তো দেখা নাও হতে পারে। 

বাবু, তোমার হাতের চুরি, নাকের নাকফুল এবং আঙ্গুলের aunty দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। ইচ্ছে করছিলো ঐগুলু খুলে সব ফেলে দেই :'( তুমি তো কেদেছ, আর আমি ত্রিব্ব বেথায় ককিয়েছি। মনে আছে তোমার, আমি নাকফুল দেয়া পছন্দ করতাম না, আর তাই তুমি নাকফুল পরতে না। কিন্ত, দেখো আজ তুমি ঠিকি নাকফুল পরে আছ। তোমাকে খুবই বিমর্ষ লাগছিলো। খুব ইচ্ছে করছিলো তোমার হাত দুইটা ধরে তোমাকে একটু সান্তনা দেই। কিন্ত, কিছুই করিনি, আমার ভিতরে তখন অনেক তুফান চলছিলো।

বাবুরে, কেন এমন করছো? তুমি না চাও adjust করে নিতে, তবে এমন করার কি কোনো অর্থ আছে। মেনেই তো নিয়েছো, শুধু শুধু এই সোনালী দিনগুলু নষ্ট করোনা। পরে অনেক miss করবা এই দিনগুলি। দেখোনা আমি সেই দিন্গুলুকে কত্ত মিস করছি। ইস আগে যদি এমন হবিগঞ্জ এসে তোমার সাথে আরো সময় থাকতাম :'(

সন্ধাবেলা হাটছিলাম। ভাবলাম শিমুকে ask করি, তোমার কি হয়েছে। আর তাই শিমুর কোচিং শেষ হলে, ওকে এগিয়ে দেয়ার নাম করে তোমার কথা জানতে চাচ্ছিলাম। আমার কপালটাই খারাপ, পরবি তো পর একদম জুয়েলের সামনে। ভাগ্গিস চালাকি করে আমি পিছনে না তাকিয়ে সামনে হেটে চলে আসছি। কিন্ত, শিমুকে নাকি জুয়েল আস্ক করছে "কিরে এটা বাবুর টারজান নাহ"? শিমু বলছে, আরে নাহ। ও এখানে আসবে কেনো। ঔফ বাচলাম। ইতিমধ্যে মোটামোটি কয়েকজনকে চিনছি। ইমনকে দেখছি, শিমু দেখাইছে। ও তো অনেক smart. আমার কিন্ত ভালো লাগছে। জুয়েলের বউকে দেখলাম। তোমার ওই কথাটা তখন মনে পরলো। জুয়েল কত কষ্ট করছে ওনাকে বিয়ে করার জন্য। আর আমি? কিছুই করিনি।

বাবু, গতকাল রাতে শুয়ে ভাবছিলাম, তোমার আম্মু না আমাকে ২ বছরের সময় দিয়েছিলেন। কেন ওনি ১ বছর পরেই এই কাজ করলেন? তুমিই বা কেন রাজি হলা? আমার জন্য wait করতে পারলেনা। দুবাই এর বর পেয়ে ২ বছরের কথা ভুলে গেলে? আমার জন্য এতদিন অপেক্ষা করলা, আর ১ বছরের মত অপেক্ষা করা গেলোনা। যাই হোক, যাই করেছো নিশ্চই ভালোর জন্য করেছো।

এমন একটা ভালো লাগা দিনে থাক পুরান কাসুন্দি নার্বনা। আগামীকাল যদি বেচে থাকি, তবে তোমাকে চমকানুর মত একটা খবর দিবো। তুমি ভালো থাকো, সস্থ হয়ে যাও। বাবু তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন