শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৪

সবদিন এমন হতো !!!

১২.০৪.১৪


এক পশলা বৃষ্টি হলো আজ অনেকদিন পর ! না বাস্তবে নয়, মনের ওঠান জুড়ে কল্পনায়। সব মনের কষ্টগুলু আজ প্রাণ ভরে শাস নিয়েছে, বেচে আছে সে তার জানান দিয়েছে। সে এখনো মরেনি, শুধু এই মাঝে মাঝে আশা বৃষ্টিকে পাওয়ার জন্ন। মহান আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া, তিনি এই পাপীকে একটু শান্তি দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ।

গত ৩-৪ দিন কিভাবে সময় গেছে আমার, নিজেই জানিনা। শরীরটা ভীষণ খারাপ। আগের সেই বুকের বেথাটা আবার মাথা নাড়া দিয়ে ওঠেছে। সারাক্ষণ মনে হয়, বুকের মাঝে একটা পাথর চেপে বসে আছে। কিছুই খেতে পারিনা। পানিটা যায় গলার ভিতর দিয়ে অনেক কষ্টে। মনে হয় বুকে কিছু একটা হয়েছে। শুধু পানি খেয়েই বেচে আছি বলা যায়। খাবার গলা দিয়ে যায়না, ভাত খাইনা আজ অনেকদিন। গতবার ডাক্তার অনেকগুলু টেস্ট দিয়েছিলো তাড়াতাড়ি করতে। আমি করিনি ! করবো নাহ। মনে প্রাণে চাইছি বড় একটা অসুখ হোক, তাড়াতাড়ি চলে যাই। কাওকে আমাকে নিয়ে ভাবতে দিবোনা। তোমাকেও নাহ !

জানো বাবু, গতকাল শিমু আমাকে অনেক রাগ দেখিয়ে কথা বলেছে। আমার যে অপমানবোধ এখনো আছে, গতকাল টের পেলাম। শিমুকে জিগ্গেস করেছিলাম, তুমি কেমন আছ এবং শিফার বিয়েতে কখন যাবা তা জানার জন্য একটা ফোন দিতে। তারপরে শুনালো অনেক কথা। আমি কেন পরের বওকে নিয়ে এখনো ভাবি, তোমাকে আমি কেনো বিরক্ত করি (তুমি নাকি বলেছ, আমি তোমাকে বিরক্ত করি), আরো কত কথা। তুমি ভালো আছ, আমি তোমার ভালো সয্য করতে  পারছিনা। জানো, একদম কান্না চলে আসছিলো। তোমার ভালোর জন্ন এতো কিছু করে আজ আমাকে এই কথা শুনতে হলো।

অন্য টপিকস এ চলে গেছি। গতকাল সন্ধায় nimbuzz এ কথা বললাম এবং মনে মনে আশা করেছিলাম, আজ তোমাকে দেখব, দূর থেকে হলেও। রাতে আমি  ভেবেছিলাম, আজকেও শিমু আমাকে ফোন করে কলেজে নিয়ে যাবে তোমার সাথে দেখা করার জন্ন। হলো তার ওলটা। সকালে তোমাকে নক করলাম nimbuzz এ এবং অবাক করার মত তুমি বের হলা একা ! তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছিলো এই জামাটাতে। অনেক ঘুড়াঘুড়ি করার পর তোমার দেখা পেলাম কলেজে। 

বাবু, সত্তি এতো ভালো লাগছিলো বুঝাতে পারবোনা। মজার কথা শুনবে, তোমার সামনে যেয়ে আমার কাশি ভালো হয়ে গেছে। অনেক ভালো লাগছিলো। তোমার চেহেরাটাও এখন ভালো লাগছে। আগের মতো গালগুলু ফুলে গেছে। ওনি মনে হয় অনেক আদর করে তাই :D 
বাংলা বিভাগে সিড়িতে দাড়িয়ে তোমার সাথে কথা বলতে অনেক ভালো লাগছিলো। ঔফ্ফ কতদিন পরে তোমাকে সেই আগেরমত হাসতে দেখলাম। হুম, আমার বাবু আমার সামনে হাসছে। নরমাল ভাবে কথা বলেছে। এটাই আমার কাছে অনেক কিছু। কি যে শান্তি লাগছে বাবু, বুঝাতে পারবোনা।

আজকে তুমি চলে যাবা আবার বাড়িতে। আবার সেই কষ্টগুলুর সাথে আমার লড়াই করে বেচে থাকা। কিছুই করার নেই, এইভাবেই যাবে আমার দিনগুলি। আজকে বারবার জিগ্গেস করছিলা, আমি কি কাজ করি? তোমাকে বলার মত সাহস আমার নেই। আমার নিজেরই তো অবাক লাগে, আমি এমন একটা কাজ করি ! তবে একদিন বলবো, যেদিন আমি এখান থেকে চলে যাবো। বেচে থাকলে অবস্সই বলবো। 

আজ একটা জিনিষ বুঝতে পারলাম। তুমি পারবা ঠিক আগের মত হতে। আজ তা তোমার সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি। তুমি পারবা আমাকে ভুলে যেতে। দিন শুরু করবা ওনাকে কুত্তা বলে গালি দিয়ে, রাত শেষ হবে ওনার সাথেই। হয়তো এমন করেই তোমার দিন যাবে এবং একসময় এই টারজানকে ভুলে যাবা। শিমুর কথা মত, তুমি ভালো আছ এবং তোমাকে ভালো থাকতে দেওয়াটা আমার জন্য দরকারী একটা কাজ। দেখি সামনে পারি কিনা। হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত তোমার কথা ভুলে থাকা আমার পক্খে অসম্ভব। যদি কোনদিন দেখো এই আমি তোমাকে বিরক্ত করছিনা, ভেবে নিও এই আমি ভালো নেই কিংবা হয়তো একেবারেই নেই। লেখার শুরুতে আনন্দের বৃষ্টি ছিলো, শেষটা করলাম দুখের চোখের বৃষ্টি দিয়ে :'(


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন