শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৪

অবশেষে ........

০৫.০৪.১৪

পতিটা মানুষের একটা সপ্ন থাকে। যা সে মনে প্রাণে পেতে চায়। সেই সপ্নটা যখন ভেন্ঘে যায়, তার জীবনের পতি আর কোনো আসক্তি থাকেনা। নিজের জীবনটা নিয়ে খেলা করতে তখন সে ভালোবাসে। সে তখন ভুলে যায় নিজের ভালো-মন্দ। সপ্ন দেখা যেমন সহজ, সেই সপ্ন ভেন্ঘে গেলে তার শোক সয্য করা অসম্ভব। এই যে কি কষ্ট, যার এমন হয় শুধু সেই বুঝে। চোরাবালিতে না পড়লে অন্য কেও বুঝবেনা, সে এখন মৃত্তকে নিজের চোখে দেখছে। তেমনি, সপ্ন ভেন্ঘে যাওয়া মানে কারোর জন্য জীবনের সাধ শেষ হয়ে যাওয়া। 

পতিটা দিন শুরু হয় তোমাকে ভেবে। আরো একটা দিন তোমাকে ভেবে কষ্টের সাথে লড়াই করে বেচে থাকা। কষ্টগুলু আমার মাথায় সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায় আর তোমার কথা সরণ করায়। প্রোচঅন্ড কষ্ট হয়, কিন্ত কেউ নেই সেই কষ্ট দেখানোর। ছিলো একজন, সেই ছিলে শুধুই তুমি। যাকে কষ্ট দেখাবো, সেই তো আমাকে আজ কষ্টের মাঝে ফেলে রেখেছে। সত্যি অদ্ভ্হুত লাগে ভাবলে। জীবনে কত পাপ করেছি, মিথ্যে বলেছি, আর তাই আল্লাহপাক আমাকে এমন শাস্তি দিচ্ছেন। তাও ভালো, আমার পাপের শাস্তি পৃথিবীতেই পেয়ে গেছি, পরকালের শাস্তি তো আরো ভয়াবহ। 

আজকের blog পোস্টের শিরোনাম দেখে হয়তো তোমার মাথায় প্রশ্ন ঘুরছে, কি অবশেষে? হাহাহা। হুম অবশেষে এতদিন ধরে যার জন্য অপেক্ষা, সেই সাধ পেলাম। তোমাকে এবং ওনাকে আজ একসাথে দেখলাম। ওনিত অনেক smart সততি। মুখে ডান পাশে একটা তিল আছে মনে হয়, অনেক সুন্দর। সত্তি তোমাদের অনেক মানিয়েছে। ওনি তো সাস্থবান, তাই তোমার বসতে একটু সমসসা হচ্ছিল। খেয়াল করলাম :D

আচ্ছা খুলেই বলি। গতকাল রাতে তুমি বলেছিলা আজ ১২টার দিকে চলে যাবা। আর তাই আমি ১১টার দিকে তোমার এলাকায় যেয়ে ওপস্থিত। নতুন যেই হাসপাতালটা হচ্ছে, তার গেটের বিপরীতে আমি বসেছিলাম। পুনে ১২টা বেজে গেলো কিন্তু তুমি আসার নাম নেই। ওঠে চলে আসতে লাগছিলাম। আমি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম। এমন সময় দেখি রিকশাতে তুমি বসে ওনার সাথে। আমার সামনে দিয়ে গেলা। কি করবো বুঝে ওটতে পারছিলামনা। তাড়াতাড়ি দৌড়ে তোমাদের পিছনে পিছনে বাস স্টান্ড পর্যন্ত আসলাম। ঔফ বয়স হইছেতো, এখন কি আর আগের মতো দৌড়াতে পারি? আমি ভেবেছিলাম তোমরা হয়তো বাস এ যাবা। কিন্তু দেখি তোমরা লাখাই রাস্তার দিকে যাচ্ছ। মাথায় ধর্ছিলনা এই রাস্তায় কেনো। এই রাস্তা দিয়ে মাধবপুর যাওয়া যায় আগে জানতাম না। 

যাই হোক, তোমাদের পিছন পিছন আসতে লাগলাম। হটাত দেখি cng স্টেশন এর সামনে এসে নেমে গেলা। আমি কিন্তু তখনো তোমার পিছনে। একটু তাকায়ওনা। ওনার পাশে থাকলে আর কিছু দেখেনা :@ তুমি cng তে ওঠে গেলা, আর আমি পাশ দিয়ে হেটে সামনে চলে আসলাম। ভাবলাম ঐখানেই দাড়িয়ে থাকি, তোমাকে ভালো করে দেখার জন্য। কিন্তু তোমরা এত তাড়াতাড়ি চলে আসবা ভাবিনি। কি আর করা, তোমাকে না তোমার ওনাকে আরো একবার দেখলাম। কারণ তোমাকে দেখা যাচ্ছিলনা। 

ফাজিলটা এই পাশে এত জায়গা থাকতে একদম ওনার সাথে লেগে বসে আছে। আবার কুত্তাও ডাকে, আমাকে দেখাও। ভালো। মুখটাকে কেব্লাকান্তের মতো করে রাখছে, মনে মনে তো খুশি। ওনার সাথে ঢাকা যাবে, ঘুরবে। ওনার বিদেশে যাওয়ার সময় বাড়াবে। কক্সবাজার বেড়াতে নিয়ে যাবে। করো, সব আনন্দ করে নাও। আবার mind set করবে ওনার সাথে থাকার জন্য। ওনি চলে গেলেই বাচে, মনকে গুছাবে। যাও, নিজের জীবন সাজাও। আমি কে তোমার। আমি তো মানুষ না। আমার কোনো কষ্ট হয়না। সারাদিন না খেয়ে আমার এতো কষ্টের কাজ করতে তো কষ্ট লাগেনা :'( যাও সুখী হউ তুমি। 

মজার বিষয়। আমার এলাকা কিন্তু ঐটা, মানে আমি ঐখানেই কাজ করি। তাই তুমি চলে যাওয়ার পরে আবার কাজে গেলাম। দুই হাতে দাগ পরে গেছে। আর গায়ে শক্তিও নাই। শরীর কাপে এতো পরিশ্রমের কাজ করতে। না পাচ্ছি মানসিক শান্তি, না পাচ্ছি শারীরিক। মরে গেলেই ভালো, সব কষ্ট শেষ। কিচ্ছু ভালো লাগেনা আর।

তোমাকে মিলন মাহমুদের "সোনার পাখি" গানটা একটু শুনাই। নেট এ খুজলে পাবা। অনেক সুন্দর গানটা।

একটা জীবন কাইন্দা মরে পান্থ পানে চাইয়ারে,
সোনার পাখি ওইরা গেছে পিন্জোর ছেড়ে।
হায়রে সোনার পাখি ওইরা গেছে পিন্জোর ছেড়ে।

ওহ জীবনরে কতো রঙ্গের আশা ছিলো এই না প্রাণে।
জীবনরে কতো রঙ্গের আশা ছিলো এই না প্রাণে।
হায়রে দিন ফুরালে রং মহলে বাসর সাজাই কেমনে।
সোনার পাখি ওইরা গেছে পিন্জোর ছেড়ে। :'(

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন